ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুতির হুমকি, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল উত্তেজনা

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নেতা বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি বন্দরে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়া অনিবার্য। এই প্রতিশ্রুতি আঞ্চলিক উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ গত সপ্তাহে তেহরান সমর্থিত দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানও প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।

আবদুল মালিক আল-হুতি এক টেলিভিশন বক্তব্যে বলেন, হুদায়দা বন্দরে জ্বালানি সঞ্চয় ট্যাংককে লক্ষ্য করে ২০ জুলাইয়ের হামলার প্রতিক্রিয়া ‘অনিবার্য ও আসবে’।একই সঙ্গে বিদ্রোহী প্রধান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ ‘এর চরম সীমায়’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

 

হুতিরা ইরানের তথাকথিত ‘প্রতিরোধের অক্ষের’ অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছে। ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী এ অক্ষের অন্তর্ভুক্ত। আল-হুতি বলেছেন, ইসরায়েলের সর্বশেষ পদক্ষেপের প্রতি হুতি ও ইরানের আঞ্চলিক মিত্রদের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া ‘শুধু কৌশলগত’।

তিনি আরো বলেন, ইসরায়েল ও তার মার্কিন সমর্থকদের গৃহীত পূর্বনির্ধারিত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিবেচনায় রেখে প্রকৃতভাবে প্রভাবশালী প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে। সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্তটি প্রতিরোধ অক্ষের প্রত্যেকেই নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশে হুদায়দায় হামলাটি ছিল ইসরায়েলের দায় স্বীকার করা প্রথম হামলা। হুতিরা ইসরায়েলে তাদের প্রথম মারাত্মক হামলা শুরুর এক দিন পর এ হামলা হয়।তারা তেল আবিবে একটি ড্রোন হামলায় একজন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছিল।

 

হুতি বিদ্রোহীদের মতে, ইসরায়েলি হামলায় বন্দরের জ্বালানি সঞ্চয়ের ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায় এবং কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়।

নভেম্বর থেকে হুতিরা এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তারা বলছে, সামুদ্রিক ট্রাফিক ব্যাহত করা এই অভিযান গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার জন্য। মোট ১৭৭টি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে জানিয়ে হুতি নেতা বলেছেন, ‘সামুদ্রিক ট্রাফিক হ্রাস একটি মহান বিজয়।সূত্র : এএফপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *