‘বিপ্লবী’ উপায় উদ্ভাবন ,মঙ্গল গ্রহকে বাসযোগ্য করার

এ মুহুর্তে মঙ্গলের পৃষ্ঠ বাসযোগ্য নয়। গ্রহটির আবহাওয়া খুব ঠাণ্ডা ও নিয়মিতই এতে মারাত্মক অতিবেগুনী রশ্মি’র বিস্ফোরণ ঘটে।

মঙ্গল গ্রহকে বাসযোগ্য করে তুলতে এর বায়ুমণ্ডলে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ধূলিকণা ছিটানোর লক্ষ্য নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এ যুগান্তকারী আইডিয়া বিজ্ঞানীদের প্রস্তাবিত বেশ কিছু বৈপ্লবিক উপায়ের একটি, যেখানে গ্রহটিকে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য করে তোলার পাশাপাশি এতে মানুষের আবাসস্থল তৈরির সম্ভাবনা জেগেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

এ মুহুর্তে মঙ্গলের পৃষ্ঠ বাসযোগ্য নয়। গ্রহটির আবহাওয়া খুব ঠাণ্ডা ও নিয়মিতই এতে মারাত্মক অতিবেগুনী রশ্মি’র বিস্ফোরণ ঘটে। এ ছাড়া, এর মাটি লবণাক্ত, বাতাসের ঘনত্ব কম এমনকি এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞানীদের দাবি, তাদের তৈরি করা নতুন পদ্ধতির কার্যকারিতা আগের বিভিন্ন প্রকল্পের তুলনায় পাঁচ হাজার গুণেরও বেশি।

এতে বিভিন্ন এমন উপাদান ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে, যা সহজেই মঙ্গল গ্রহে পাওয়া যাবে। ফলে, পৃথিবী থেকে বিভিন্ন উপাদান নিয়ে যাওয়া বা সেগুলোকে মঙ্গলের মাটিতে খনন করার মতো প্রয়োজনীয়তা নেই।

গবেষকরা সতর্ক করেছেন, এ প্রস্তাবনা বাস্তবে পরিণত করতে আসলে বেশ কয়েক দশক সময় লাগতে পারে। তবে, বিশাল কর্মযজ্ঞের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে, সেখানে অন্যান্য প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা এর চেয়েও কঠিন।

মঙ্গল গ্রহকে বাসযোগ্য করে তোলার প্রথম প্রস্তাবনাটি এসেছিল ৭০’র দশকে। এর পর আরও ৫০ বছর কেটে গেছে, যেখানে গবেষকরা মঙ্গল গ্রহকে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য করে তোলার বিভিন্ন ধরনের উপায় প্রস্তাব করেছেন।

নতুন এ প্রস্তাবনায় লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যা মঙ্গল গ্রহে খুবই সহজে পাওয়া যায়। আর সেগুলোকে চূর্ণ বিচুর্ণ করে ছোট ছোট ধূলিকণায় পরিণত করতে হবে, যা গ্রহটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আটকে দিয়ে একটি গ্রিনহাউজ তৈরি করবে।

“গ্রহটিকে উষ্ণ করে তুলতে লাখ লাখ টন ধূলিকণা লাগবে। কিন্তু আমাদের এ প্রস্তাবনা মঙ্গল উষ্ণায়ন সংশ্লিষ্ট আগের বিভিন্ন প্রস্তাবের চেয়ে পাঁচ হাজার গুণ কার্যকর,” বলেন ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো’র ভূ-ভৌতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহযোগী লেখক এডউইন কাইট।

“এতে করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে।”

গবেষণাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে ‘ফিসিবিলিটি অফ কিপিং মার্স ওয়ার্ম উইদ ন্যানোপার্টিকলস’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে, যা প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ।সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *