ইতিহাস গড়েছেন নেদারল্যান্ডসের শ্যারন ফন রুভেনডাল। প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে মেয়েদের ম্যারাথন সাঁতারে দুটি সোনা জয়ের কীর্তি গড়েছেন তিনি। প্যারিসে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন সাঁতারে স্বর্ণ জিতলেন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকেও স্বর্ণজয়ী ছিলেন রুভেনডাল। এর আগে কেউই ম্যারাথন সাঁতারে দুইটি স্বর্ণ জেতেনি।
স্বর্ণ জিততে রুভেনডাল সময় নেন ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩৪.২ সেকেন্ড। অস্ট্রেলিয়ার মোয়েশা জনসন ৫.৫ সেকেন্ড পেছনে থেকে জিতেছেন রুপা। ইতালির গিনেভ্রা তাদুয়েচ্চি তাম্র পদক জিতেন। অথচ রেসে বেশির ভাগ সময় অগ্রগামী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মোয়েশা জনসনই। ফাইনাল ল্যাপে জয় ছিনিয়ে নেন ডাচ সাঁতারু।
৩০ বছর বয়সী রুভেনডাল টোকিও অলিম্পিকে রুপা জিতেছিলেন। ২০২২ সালে বুদাপেস্টেরও ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন তিনি।
হোটেলে কোচের সঙ্গে থাকার দায়ে দেশে ফেরত ভারতের কুস্তিগীর অন্তিম
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে ভারতের নারী কুস্তিগীর অন্তিম পাঙ্ঘালের বিরুদ্ধে। কোচের সঙ্গে হোটেলে অবস্থানের কথা ফাঁস হলে বিতর্কের মুখে পড়েন কুস্তিগীর। এরপর তাকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা।
বুধবার মহিলাদের ৫৩ কেজি বিভাগে নেমেছিলেন অন্তিম। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ০-১০ পয়েন্টে হেরে বাদ যান তিনি। তারপর আর গেমস ভিলেজে ফেরেননি অন্তিম। তার কোচ ও বোন নিশা একটি হোটেলে রয়েছেন। সেখানেই যান অন্তিম। সন্ধ্যায় অনুশীলনেও যাননি তিনি। পরে গেমস ভিলেজ থেকে তার জিনিসপত্র ফেরত নিয়ে যেতে বোনকে পাঠান তিনি। বোনের হাতে নিজের পরিচয়পত্র দেন। গেমস ভিলেজে ঢোকার সময় প্যারিস পুলিশ নিশাকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিষয়টি জানা যায়। তার পরেই ভারতীয় দলকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়।
এই ঘটনা সামনে আসার পরে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য অন্তিমকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তাকে ইতিমধ্যেই প্যারিস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরিচয়পত্রও নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নিয়মের ভুলে রৌপ্য হারালেন বিনেশ ফোগাট, আদালতে নিষ্পত্তি
অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ার পরও গেমস ভিলেজ ছাড়েননি ভারতীয় কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে অভিযোগ করেছেন ‘নিয়মের ভুলে’ হারতে হয়েছে তাকে। ওজন বেশি হওয়ায় অলিম্পিক থেকে বাতিল হলেও হাল ছাড়ছেন না বিনেশ ফোগাট।
মঙ্গলবার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন ফোগাট। তখন ওজন নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়েননি। তবে ফাইনালেই ওজনের ঝামেলায় বাদ দেয়া হয় তাকে। যেহেতু ফাইনালে পৌঁছেছেন তাই তাকে অন্তত রৌপ্যপদক দেওয়া উচিত বলে মনে করেন ফোগাট।
১৯৮৩ সালে গঠন করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। খেলা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ সেখানে করা য়ায়। এই আদালতে ব্যক্তিগত ভাবে ক্রীড়াবিদেরা অভিযোগ করতে পারেন। আবার কোনও দেশের ক্রীড়া সংস্থাও সেখানে অভিযোগ করতে পারে।
জানা যায়, ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায় মহিলাদের ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালে নামতে পারেননি ফোগাট। তাকে খেলার তালিকা থেকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।সুত্রঃমানব জমিন